অনলাইন ডেস্ক ::
টেকনাফের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী জহির আহম্মেদ ওরফে মৌলভী জহির। পাশাপাশি ওষুধের ব্যবসা করেন। বড় দোকান রয়েছে সেখানে তার। তবে দোকনটি ওষুধের হলেও তিনি ওষুধ বিক্রি করতেন না। বিক্রি করতেন ইয়াবা। দীর্ঘদিন ব্যবসা চালানোর পর এবার ধরা পড়েছেন র্যাবের জালে। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকা থেকে ২ লাখ ৭ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে ধরা পড়েছেন এই ওষুধ ব্যবসায়ী। সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন তার অপর পাঁচ সহযোগী। এরা হলেন ফয়সাল আহম্মেদ, মিরাজ উদ্দিন নিশান, তৌফিকুল ইসলাম ওরফে সানি, সঞ্জয় চন্দ্র হালদার ও মমিনুল ইসলাম ওরফে মমিন। জহির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত টেকনাফের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। গত বুধবার রাতের অভিযানে ইয়াবা ছাড়াও তাদের কাছ থেকে মাদক বিক্রির ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, বুধবার রাতে এলিফ্যান্ট রোডের দুটি বাসা থেকে ইয়াবা, নগদ টাকাসহ ওই ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। টেকনাফে জহিরের একটি ওষুধের ফার্মেসি আছে। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে মূলত ওষুধ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। জহির প্রায় ১৫ বছর ধরে টেকনাফে সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করেন। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জহির জানিয়েছেন, তিনি ও তার ছেলে বাবু ৫-৬ বছর ধরে ঢাকার বিভিন্নস্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। গত ২৫ এপ্রিল ধানমন্ডিতে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে বাবু এখন কারাগারে। এ ছাড়া তার স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের স্বামী আবদুল আমিনও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন। জহির তার পুরো পরিবারসহ টেকনাফের কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ইয়াবা ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। পরিবহন সেক্টরের কয়েকজন চালক, হেলপার, দুটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী ও ঢাকায় কয়েকজন খুচরা বিক্রেতাও রয়েছেন এ সিন্ডিকেটে। মূলহোতা জহির ২৫-৩০ জনের একটি সিন্ডিকেট চালান বলে স্বীকার করেছেন। জহিরের জামাতা আবদুল আমিন ও তার ভাই নুরুল আমিনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামি।
পাঠকের মতামত: